Is it safe to give smart phone to children at any age?

স্মার্টফোন আমাদের জীবনের অংশ হয়ে পড়েছে নিঃসন্দেহে। প্রাপ্তবয়স্ক তো বটেই, অনেক শিশুর হাতেও অভিভাবকরা তুলে দিচ্ছেন স্মার্টফোন। কিন্তু শিশুর হাতে স্মার্টফোন দেওয়াটা কী নিরাপদ? কত বছর বয়স থেকে তাকে স্মার্টফোন ব্যবহার করতে দেওয়া যেতে পারে? এ বিষয়ে জেনে নিন কিছু বিশেষজ্ঞের মতামত।

অনেক স্মার্টফোন অ্যাপের রয়েছে বয়সসীমা। যেমন ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রাম ব্যবহারের জন্য ১৩ বছর বয়সী হতে হয়। কিন্তু তারমানে এই নয় যে ১৩ বছর বয়স হওয়ার আগে বাবা-মা সন্তানকে স্মার্টফোন দিতে পারবেন না।  নিজস্ব একটি স্মার্টফোন ব্যবহারের দায়িত্ব ও মানসিক যোগ্যতা থাকলে তাকে স্মার্টফোন দেওয়া যাবে। কিন্তু তা কোন সময়ে?

কমন সেন্স মিডিয়া কোম্পানির ভাইস প্রেসিডেন্ট জিল মার্ফির মতে, অভিভাবকদের মূলত তিনটা চিন্তা থাকে। বাচ্চারা কতটা সময় স্মার্টফোন ব্যবহার করতে পারবে, ইউটিউব ব্যবহার কীভাবে সামলানো যাবে ও কোন বয়সে শিশুকে স্মার্টফোন দেওয়া যাবে।  তিনি আরও জানান, বিভিন্ন পরিবারের এই সময় আলাদা হতে পারে। যেমন, আপনি ছাড়া শিশুর খেয়াল রাখার কেউ না থাকলে যোগাযোগ বজায় রাখতে তাকে স্মার্টফোন দেওয়া যেতে পারে।

আরেক বিশেষজ্ঞ, নিকোল ড্রিস্কে মত দেন, শিশুদের ফোন ব্যবহার করার বিষয়টা নিয়ে কথা বলতে গেলে অনেক সময়েই অভিভাবকরা রাগারাগি করেন। এতে শিশুরা ভাবে যে ফোন জিনিসটাই খারাপ। কিন্তু তা নয়। শিশুকে বোঝান যে ফোন ব্যবহার করে শিক্ষণীয় অনেক কিছুই করা যায়।

ভিমানা কোম্পানির প্রতিষ্ঠাতা সাদা মালাদি মনে করেন, মূলত তিনটি কাজ করা যেতে পারে স্মার্টফোন দিয়ে। শিক্ষা, বিনোদন ও যোগাযোগ।  অভিভাবকদের উচিত এই তিনটি বিষয়ে স্মার্টফোন তাদের সন্তানের কতটা কাজে লাগবে তা ভাবা।  এ নিয়ে চিন্তা করলেই তারা বুঝতে পারবেন শিশুকে স্মার্টফোন দেওয়ার সময় হয়েছে কিনা।

বিশেষজ্ঞ টাইটানিয়া জর্ডান মনে করেন, শিশুর অ্যাংজাইটি বা ডিপ্রেশন থাকলে তাকে কম বয়সে স্মার্টফোন না দেওয়াই ভালো।  এছাড়া অভিভাবকদের আচরণেও পরিবর্তন আনা উচিত। আপনি যদি মুখের সামনে স্মার্টফোন ধরে শিশুর সাথে কথা বলতে থাকেন, তাহলে শিশু ধরে নেবে সেটাই স্বাভাবিক। বরং শিশুর সাথে সময় কাটানোর সময়ে নিজের ফোনটাও দূরে রাখুন।

Comments